রিয়াজ উদ্দিন, পেকুয়া:
পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের ৬ গ্রামের মানুষের একমাত্র চলাচল মাধ্যম বাঁশের সাকো। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ওই ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের পূর্ব পাহাড়িয়াখালী, ছনখোলা পাড়া, আবাদিঘোনা, হরিল্লাছিগা, লাইনেরশিরা, হারকিলারধারার প্রায় ২৫ হাজার জনগন ওই সাঁকো দিয়ে ঝুঁকিপূর্ন ভাবে চলাচল করে আসছে। ওই ইউনিয়নের পাহাড়ী এলাকা ছনখোলারপাড়া এলাকায় প্রচন্ড বৃষ্টির সময় ছনখোলারছড়া দিয়ে পানি নীচের নেমে আসে। এ সময় স্কুল, মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র/ছাত্রী ও এলাকার স্থানীয় জনগন যাতায়াতের সময় দারুন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। এলাকার বাসিন্দা আবদুল সালাম জানান, গত তিন বছর আগে স্থানীয় মেম্বার জাহাঙ্গীর আলম লোকজনের সহযোগিতায় নিজস্ব অর্থায়নে এলাকার লোকজনের চলাচলের সুবিধার স্বার্থে ছনখোলার ছড়ার উপর দুটি সাঁকো নির্মাণ করে। তিনি জানান, ওই সাঁকো দিয়ে ভারী মালামাল বহন করে নিয়ে যাওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। তাছাড়া বিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রীদের সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে অনেকে পানিতে ভেসে মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছে। এ দিকে পাহাড়ী অঞ্চলের লোকজনের একমাত্র উপার্জনের মাধ্যম কাঠ কেটে বাজারে বিক্রি করা। অতি বর্ষনের ফলে ওই সাঁকোর অবস্থা খুবই নাজুক হয়ে পড়ে। ফলে লাকড়ী ও কাঠ নিয়ে ওই সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করা সম্ভবপর নয়। অথচ ওই সাঁকো দিয়ে শত শত লোকজন মালামাল নিয়ে যাতায়াত করে থাকে। স্থানীয় সমাজ সর্দার জামাল মাঝি, সমাজ সর্দার শাহ আলম, নন্নামিয়া, সাহাব উদ্দিন, জসিম উদ্দিন, শফি আলম ওই গ্রামের লোকজনের যাতায়াতের সুবিধার জন্য ছনখোলাছড়ার উপর ব্রীজ নির্মাণের জন্য সরকারের নিকট দাবী জানান। তারা আরো জানান, শুধু বারবাকিয়া ইউনিয়নের লোকজন সাঁকো দিয়ে চলাচল করে না। পাশর্^বর্তী টইটং ইউনিয়নের লোকজনও চলাচল করে থাকে। স্থানীয় মেম্বার জাহাঙ্গীর আলম জানায়, তিনি জনগনের সহযোগিতায় নিজস্ব অর্থায়নে লোকজনের চলাচলের জন্য দুটি বাঁশের সাকো নির্মাণ করেছেন। তিনি দু:খ করে বলেন, পাহাড়ে হাজার হাজার লোকজনের একমাত্র চলাচল মাধ্যম বাঁশের সাঁকো হলেও সরকারীভাবে কোন অনুদান এখনও পাওয়া যায়নি। তিনিও ওই ছড়ার উপর পাকা সেতু নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।